নন্দীগ্রামে ৫ কোটি টাকার উন্নয়নে মডেল ইউনিয়ন
স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নে গত পাঁচ বছরে প্রায় ৫ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। রাস্তাঘাট, গ্রামীণ অবকাঠামো ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন হওয়ায় এখন মডেল ইউনিয়নে পরিণত হয়েছে ‘থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়ন’। বিদ্যুৎ বঞ্চিত ঘরে ঘরে সোলার প্যানেল স্থাপন সহ গ্রামের দুর্দশাগ্রস্ত কাঁচা রাস্তাগুলো সোলিং ও ঢালাইকরণ কাজের মধ্যদিয়ে গ্রামগুলোকে শহরে রুপ দেওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন এতথ্য জানান।
প্রাপ্ততথ্যে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে ‘৪ নং থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ’ একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরের জনপদ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ইউনিয়নের প্রায় ৯৮ ভাগ মানুষ কৃষিতে ওপর নির্ভর। ধান সহ বিভিন্ন সবজি চাষের উপার্জিত আয়ের টাকায় থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নের মানুষের পরিবার চলে। ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে আত্মীয়পূর্ণ সম্পর্ক গড়েছেন। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই প্রত্যন্ত গ্রামে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। নিমাইদিঘী হাইস্কুল চত্বর ও বাঁশো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। গোপালপুর দুটি ব্রিজ, গুলিয়া কৃষ্টপুর ১টি ব্রিজ, পারশুন সানিপুকুর এলাকায় ১টি ব্রিজ, চাতরাগাড়ি ১টি ব্রিজ, মাঝগ্রাম রাস্তায় ১টি ব্রিজ, থালতা এলাকায় ১টি ব্রিজ, চককয়া এলাকায় ১টি ব্রিজ, বাঁশো এলাকার ১টি ব্রিজ ও বনগ্রাম রাস্তায় ১টি ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে। গ্রামে গ্রামে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সহ আন্দাসুরা এলাকায় রাস্তা ঢালাইকরণ, ধাওয়াস গ্রামে ঢালাইকরণ, বাটদীঘি দক্ষিণপাড়ায় ঢালাইকরণ, বাঁশো দক্ষিণপাড়ায় ঢালাইকরণ, চাঁনপুর এলাকার ঢালাইকরণ, গোপালপুর হিন্দুপাড়ায় ঢালাইকরণ রাস্তা সহ থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামের মধ্যেই রাস্তার সোলিং কাজ করা হয়েছে এবং এখনো উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চলমান।
থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রায় ৫ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ করা সম্পন্ন হয়েছে। ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামকেই শহরে রুপ দেওয়ার চেষ্টা করছি। থালতা-মাঝগ্রাম এখন মডেল ইউনিয়ন।