আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চতুর্দেশীয় রেলপথ বানিজ্য শুরু হবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে। -বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন
আবু তাহের আনসারী পঞ্চগড় প্রতিনিধি : আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চতুর্দেশীয় রেলপথ বানিজ্য শুরু হবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে।
রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এমপি বলেছেন দেশের একমাত্র চতুর্দেশিয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী মহা পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা হয়ে চতুর্দেশীয় রেলপথ বানিজ্য শুরুর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে সরকার।
গতকাল দুপুর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হলরুমে স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগনের সাথে মত বিনিময় সভা জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
ঊাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্টটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য স্থলবন্দরের চেয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এই বন্দরের সাথে প্রতিবেশি বেশ কয়েকটি দেশের যোগাযোগ হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে। তিনদিকে সীমান্ত থাকায় এ বন্দরের জায়গা কম। তাই অবকাঠামো সহ অন্যান্য ব্যাপারে টেকসই চিন্তা ভাবনা করতে হবে। এ ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট মহাপরিকল্পনা করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী মহল সহ জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। মন্ত্রী আরো বলেন, সকল উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে সরকার এখন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে কাজ করছে। সরকার দেশের এবং মানুষের অগ্রগতিকে ধরে রাখতে চায়। এসময় তিনি আরও বলেন, পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারন করা হচ্ছে। এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের শিলিগুড়ি দিয়ে অন্যান্য দেশে রেল যোগাযোগ স্থাপনের চিন্তাভাবনা চলছে। পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপনের প্রকল্প অচিরেই চুড়ান্ত হবে। আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারন হলে এই স্থলবন্দরের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের রাজস্ব আয়ও বেড়ে যাবে। তাই আমরা যত দ্রুত সম্ভব বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে অন্যান্য দেশের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপন করতে চাই।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, রাজস্ব কর্মকর্তা রনবীর চন্দ্র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মদ মাসুদুল হক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার হাবিবুর রহমান, স্থলবন্দর আমদানী রপ্তানীকারক এসোসিয়েসনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা, সিএন্ড এফ এসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।