আটোয়ারীতে শিশু ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা !
আটোয়ারী(পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর এক পল্লীতে ৫০ বছর বয়সী ব্যক্তি কর্তৃক ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের চুচুলি গ্রামে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ধর্ষনের চেষ্টার স্বীকার হওয়া ১০ বছর বয়সী কন্যা শিশুটির বাড়ী ঠাকুরগাঁওয়ের শাহাপাড়ায়। তার বাবা রংপুরে একটি ইলেকট্রিক কোম্পানীতে কাজ করেন। শিশুটির মা জীবন জীবিকার তাগিদে জর্ডান দেশে অবস্থান করছেন। কন্যা শিশুটি তার নানার বাড়িতে থেকে আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের চুচুলি গ্রামের ব্র্যাক শিশু নিকেতনে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে। গত ১৪ আগস্ট বিকেলে স্থানীয় হোমিও চিকিৎসক মৃত আষাঢ়ু বর্মনের পুত্র রমেশ চন্দ্র বর্মনের কাছে শিশুটি তার মামীর জন্য চোখের ঔষধ আনতে যায়। বাড়ির সাথে চিকিৎসা চেম্বার হওয়ায় লোকজনের অনুপস্থিতি দেখে ঔষধ দেওয়ার কথা বলে লম্পট হোমিও চিকিৎসক রমেশ চন্দ্র বর্মন(৫০) অবুঝ কন্যা শিশুটিকে ফুসলিয়ে চেম্বার সংলগ্ন শয়ন কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। ধর্ষনের চেষ্টাকালে শিশুটি নিজেকে রক্ষা করতে লম্পট রমেশের তর্জনী আঙ্গুল কামড় দিয়ে আহত করে। শিশুটির চিৎকারে লোকজন উপস্থিত হতে থাকলে ধুর্ত লম্পট হোমিও চিকিৎসক রমেশ ঘটনাস্থল হতে সটকে পড়ে গা ঢাকা দেয়। ভিকটিমের বাবা মোঃ আব্দুল করিম (জীবন) (৩৪) বাদী হয়ে হোমিও চিকিৎসক রমেশ চন্দ্র বর্মনকে আসামী করে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, পঞ্চগড়ে ২০০০ ইং সালের নারী নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/০৩) এর ৯ (৪)(খ) ধারা মতে মামলা দায়ের করেন। সুত্র জানায়, ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মামলাটি সঠিক তদন্তের স্বার্থে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ আমিনুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। গত ২৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার উপজেলা ভূমি অফিসে এ.সি ল্যান্ডের দপ্তরে মামলার উভয় পক্ষের লোকজনদের ডেকে নিয়ে সঠিক তদন্তের স্বার্থে পৃথক পৃথকভাবে জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করেছেন। এব্যাপারে মামলার বাদী বলেন, একজন চিকিৎসকের এমন লম্পট চরিত্রের বিরুদ্ধে সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় আদালতে মামলা করেছি। অপরদিকে আসামী হোমিও চিকিৎসক রমেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, আমার বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ সঠিক নহে। শিশুটির সাথে ধর্ষনের চেষ্টার কোন ঘটনা ঘটেনি। শিশুটি সম্পর্কে আমার নাতনী হওয়ায় প্রায় সময় তার সাথে মসকরা করি। সেদিনেও মসকরা করেছি। সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, আদালত আমাকে তদন্তের দায়িত দিয়েছেন। আমি নিয়ম অনুযায়ি তদন্ত করেছি। তদন্তের নিরপেক্ষ রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করা হবে।