গাংনীর মেয়রের বিরুদ্ধে পৌরবাসির গণস্বাক্ষরিত স্মারক লিপি প্রদান।
আমিরুল ইসলাম অল্ডাম মেহেরপুর প্রতিনিধি : ভুঁয়া টেন্ডার দেখিয়ে সরকারি জায়গার উপর মার্কেট নির্মাণ করার নামে স্থাপনা নির্মাণ চেষ্টা করায় মেহেরপুরের গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। রবিবার (১৬ আগষ্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ এর নিকট পৌরবাসির পক্ষে সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন,যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশসহ পৌরবাসির পক্ষ থেকে গণ স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয় । হত্যা ,গুম, ও চাঁদাবাজির চলমান মামলার আসামী উল্লেখ করে বলা হয়েছে সে নিজ স্বার্থে ভুঁয়া টেন্ডার দেখিয়ে সরকারী জায়গায় স্থাপনা তৈরীর নীল নকশা করছেন। পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামকে ভূমি দস্যু উল্লেখ করে বলা হয়েছে ২০১৭ সালে ও ফেব্রুয়ারি মাসে একই ভাবে সরকারী জায়গা দখল করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে অনেককে পথে বসিয়েছেন। এছাড়াও ভুঁয়া টেন্ডার দেখিয়ে সরকারী কোষাগারের টাকা লোপাট করেছেন বলে স্মারক লিপির মাধ্যমে জানানো হয়েছ্।ে মেয়র আশরাফুল ইসলামের ভয়ে অনেকে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পায় বলেও স্মারক লিপিতে বলা হয়েছ্ ে।
পৌরবাসিরা এসব কারনে ভয়ভীতির মধ্যে দিন পার করছে বলেও স্মারক লিপিতে বলা হয়েছ্।ে
দরখাস্ত প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে জিলাপী ব্যবসায়ী ওলিউল বলেন, ডিসি বরাবর অভিযোগ দেয়া হলে মেয়র বিষয়টি জেনে ফেলে । আমাকে ৫ লাখ টাকা নেয়ার পরিবর্তে বিনামূল্যে দোকান ঘর বরাদ্দ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের কয়েকজনের নিকট থেকে স্বাক্ষর করে নিয়েছ্।ে ন্যায্যমূল্যে ঘর বরাদ্দ দিলে অভিযোগ প্রত্যাহার করবো বলেছি। এর আগেও জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করা হয়েছ্ ে। এখনও অভিযোগ তোলা হয়নি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, এর আগে যারা আমার বিরুদ্ধে দরখাস্ত দিয়েছিলেন তারা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছ্।ে এসে সময় সাংবাদিকরা নিউজ করেননি। তিনি এ প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য না করে বলেন আপনারা যা খুশি তাই লেখেন।
এব্যপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, গাংনী পৌর সভার মেয়রের বিরুদ্ধে পৌর বাসির গণ স্বাক্ষরিত স্মারক লিপি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।