গাংনী পৌরসভা নির্বাচন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আশরাফুল ইসলামের দুর্বৃত্তদের হামলা। পিস্তল ছিনতাই-গুলি বর্ষনের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন
মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড শিশিরপাড়া গ্রামের মাঠপাড়ায় আজ সোমবার দুপুর বেলা নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার পথে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ আলী বহিরাগত ক্যাডার বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে আমার নেতা কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায় । আমি হৈচৈ শুনে ঘটনাস্থলে ফিরে গেলে বাকতিন্ডার একপর্যায়ে যুবলীগের চিহ্নিত নেতা কর্মীরা আমার উপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। তিনি বলেন,বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসী , হত্যাসহ নানা দাগী আসামী , স্থানীয় মাস্তান ও চাঁদাবাজ যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন, এনামুল হক, শামীম মেম্বার, সাগর আলী, রিন্টু ও নাজমূল আমাকে বেধড়ক মারপিট করে । আমি মাটিতে পড়ে গেলে ইসমাইল আমার কোমর থেকে পিস্তল বের কওে নেয় এবং আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করে।অব্স্থা বেগতিক দেখে একটি বাড়ির মধ্যে আমাকে নিয়ে গেলে ইসমাইল পর পর ৩ রাইন্ড গুলি করে ভীতি সঞ্চার কওে সে আমার পিস্তলটি নিয়ে পালিয়ে গেছে।এসব চিহ্নিত দৃর্বত্তরা আমার ১৫-২০ জন নেতাকর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড, জিয়ায় পাইপ, লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।বর্তমানে আমার ৪ জন কর্মীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন চিকিৎসাধীন।আজ বিকেল ৪ টার সময় তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে গাংনী পৌরসভার বর্তমান ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন কালে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তার সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী প্রতিদিন রাতে আমার বাসার সামনে গালাগালি করে। এসব বহিরাগত ক্যাডারর গাংনী শহরের যুবলীগ অফিসে, কমরেড মাবুদের বাড়ীতে অবস্থান করে থাকে। এদের ভয়ে আমি ও আমার নেতা কর্মীরা চরম নিরাপত্তাহীনতা ও উদ্বেগ -উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছি। তিনি আরও বলেন, বহিরাগত দাগী আসামীদের নিয়ে আহম্মেদ আলী রাস্তায় নেমেছেন। ফলে ইতোমধ্যেই ভোটারদেও মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে ।ভোটের পরিবেশ সৃষ্টিতে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ প্রশাসন ভূমিকা রাখবেন। আমি হামলাকারী ও পিস্তল ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছি । আমি চিহ্নিত দের বিরুদ্ধে মামলা করবো। তিনি ভোটারর যেন ভোট কেন্দ্রে যেতে এবং ভোট দিতে পারেন সেজন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। সাংবাদিকরা সব সময় সত্য তুলে ধরেন। কারও প্রতি আমার কোন হিংসা নেই। ভোটের মাধ্যমে জনগন যাকে নির্বাচিত করবে আমি তাকেই মেনে নিব। এমনকি বিজয়ী প্রার্থীকে সহযোগিতা করবো।
গংবাদ সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা প্রেস ক্লাবের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৪০-৪৫ জন সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।