ঠাকুরগাঁওয়ে টার্কি প্রতারণার আরেক হোতাকে বান্দরবান থেকে আটক করেছে ডিবি
[the_ad_group id="180"]
রহমত আরিফ গড়েয়া ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা : টার্কি মুরগীর ব্যবসায় অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়-দিনাজপুর জেলার কয়েক হাজার পরিবারকে সর্বশান্ত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার স্বপ্ননীল মাল্টিমিডিয়া প্রোডাক্টস্ এর এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব (৩২)কে বান্দরবান জেলার লামা থানার গহীন অরণ্যের ভিতর থেকে আটক করেছে ঠাকুরগাঁও ডিবি পুলিশ।
গত ১১ অক্টোবর লামা থানার ২নং সদর ইউনিয়নের মেরাকলা গ্রামের লামা মাতা মুহুরী এমডিএস মুরগীর ফার্ম এলাকা থেকে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় তাকে আটক করতে সক্ষম হয় ঠাকুরগাঁও ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নবীউল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত একটি চৌকষ টিম।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও ডিবি পুলিশের ওসি মো: রফিকুল ইসলাম।
প্রতারক হাবিব দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের মো: হামিদুল ইসলামের ছেলে।
এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বরে স্বপ্ননীল মাল্টিমিডিয়া প্রোডাক্টস্ এর মুলহোতা প্রতারক সালমান সানি তার স্ত্রীসহ গ্রেফতার হলেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘ প্রায় এক বছর দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলো ওই প্রতারণাকারি প্রতিষ্ঠানের এমডি হাবিব। তার বিরুদ্ধে ১২টি জিআর মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঠাকুরগাঁও ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নবীউল ইসলাম জানান, দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ১০ কোটি টাকা প্রতারণাকারি প্রতিষ্ঠান স্বপ্ননীল মাল্টিমিডিয়া প্রোডাক্টস্ এর মুলহোতাসহ অন্যান্যরা গ্রেফতার হলেও ওই প্রতিষ্ঠানের ধুরন্ধর এমডি হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব গ্রেফতার এড়াতে গত প্রায় এক বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আত্মগোপনে ছিলো।তাকে ধরতে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েও তাকে ধরা সম্ভব হয়নি। তবে আমরাও হাল ছাড়িনি, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সর্বশেষ তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বান্দরবান জেলার লামা থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে গহীন অরণ্যের ভিতর থেকে তাকে ধরতে সক্ষম হই। আটকের সময় তার কাছে ৯টি সীম কার্ড পাওয়া যায়, এসব সীম পরিবর্তণ করে সে এতোদিন নিজেকে আড়াল করে রেখেছিলো।