নারী দিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ আদায়,, ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীর ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক, কাজীসহ ৯ জন আটক ।
[the_ad_group id="180"]
মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় নারী দিয়ে প্রতারনা করে অর্থ আত্মসাতের মামলায় আত্মসমর্পন করতে আসা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরন করে আদালত। ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বালিয়াডাঙ্গী ঠাকুগাঁও জেলার বিচারক আরিফুর রহমান এ রায় প্রদান করেন। জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ছোট পলাশবাড়ী গ্রামের খাদেমুল ইসলামের মেয়ে রিতা আক্তার (১৯), তসলিম উদ্দিনের ছেলে বাবুল হোসেন (৪০), ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার পাহারভাঙ্গা গ্রামের মৃত আজগর কেরানীর ছেলে কাজী মো: আব্দুল কাদের (৫৫), ঠুমনিয়া গ্রামের কিসমত আলীর ছেলে আনছারুল (৩৫), লালাপুর গ্রামের মৃত হাসরত উদ্দিনের ছেলে দারাসতুল্লাহ মুুন্সি (৫৫), কাজিবস্তি গ্রামের মৃত আব্দুল বাশেদ মাস্টারের ছেলে সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ (৪২), মহিষমারী গ্রামের ইসারউদ্দিনের ছেলে ও দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আব্দুস সালাম সহ ৯ জন। উল্লেখিত আদালতে ভুক্তভোগী জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের ছোট সিংগিয়া (লাহিড়ী হাট) গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরনে মিজানুর উল্লেখ করেন, ১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলার ১নং আসামী বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ছোট পলাশবাড়ী গ্রামের খাদেমুল ইসলামের মেয়ে রিতা আক্তার (১৯) কে মিজানুরের বাড়িতে ঢুকিয়ে দিয়ে ৫ লাখ টাকা গ্রহন করে এই সংঘবদ্ধ চক্রটি। পরবর্তিতে ১৯ সালের ৭ এপ্রিল মিজানুর বাড়িতে এসে ঘটনার বিস্তারিত জানার পর মামলার প্রস্তুতি গ্রহন করেন। এ অবস্থায় ৯ মে মিজানুর রহমান বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তায় গেলে আসামীরা তাকে অপহরণ করে দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখিয়ে কাবিন নামায় সহি করে নেয়। পরবর্তীতে মিজানুর রহমান কাবিনের জাবেদা নকলের কপি উঠিয়ে জানতে পারেন কাবিনে প্রায় ১৫ লাখ টাকা দেনমহর করা হয়েছে। পরে ওই সংঘবদ্ধ চক্রটি আপোস মিমাংসার কথা বলে মিজানুরের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। মিজানুর কুল কিনারা না পেয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ টালবাহানা করলে পরে বিজ্ঞ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে ঐ এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে রুহুল আমিন প্লাবন (২২) এর বাড়িতে রিতা আক্তার (১৯) কে ঢুকিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে দেয় এ চক্রটি। পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকা গ্রহন করে ১৮ সালের ৯ আগষ্ট রিতা আক্তার তালাক দেয় প্লাবনকে বলে বিষয়টি মিজানুর জানতে পারেন।