পঞ্চগড়ে বোদায় ট্রাকের ধাক্কায় শিশু নিহত, আহত হয়েছে বাবা,মা-বোন সহ ৪
পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় আব্দুর রউফ নামে ২ বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে শিশুটির বাবা,মা, বোন সহ আরও ৪ জন। নিহত শিশুর বাড়ি জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনই হাট এলাকায়। সে ওই এলাকার আইনুল ইসলামের ছেলে। গতকাল শুক্রবার (২৫ জুন) বেলা দেড়টার দিকে পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কের ভিমপুকুর এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। এসময় শিশুটির বাবা আইনুল ইসলাম (৪০), বড় বোন আফরোজা আক্তার (১১), শিশুটির মা শিল্পি আক্তার (৩৫) এবং ইজিবাইক চালক মুন্না (২২) আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আইনুল ও তার মেয়ে আফরোজার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে স্থানান্তর । তবে শিশুটির মা শিল্পি ও ইজিবাইক চালক মুন্না বোদা উপজেলা স্বাস্ত্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আইনুল ইসলাম তার মেয়ে আফরোজার হাত ভাঙ্গার কবিরাজি চিকিৎসার জন্য বোদা উপজেলায় দুলাল নামে এক কবিরাজের বাসার উদ্দেশ্যে তেতুঁলিয়া হতে ইজিবাইকে করে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে বোদা উপজেলার ভিমপুকুর এলাকায় এলে পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক পিছন থেকে ইজিবাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এসময় ইজিবাইকটি সড়কের পাশে উল্টে যায়। এসময় শিশু রউফ মাথায় ও মুখে গুরুতর আঘাত পায়। পরেস্থানীয়দের সহায়তায় শিশু রউফ, বাবা আইনুল ইসলাম, মা শিল্পি আাক্তার, বোন আফরোজা আক্তার এবং ইজিবাইক চালক মুন্নাকে উদ্ধার করে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু রউফ মারা যায় ।
বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস নিতু জানান, আইনুল ইসলামের মাথায় ও চোখের পাতার উপরের অংশে মারাত্নক জখম এবং আফরোজা আক্তারের হাতের কবজির উপরের অংশের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্ল্ক্সে হতে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহত শিল্পি ও মুন্না হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বোদা থানার ওসি আবু সাইদ চৌধূরী সড়ক দূর্ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছুটে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ এসে ট্রাকটিকে জব্দ করেছে। চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছে। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হবে। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।