সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা মামলায় স্বাক্ষ্য দিলেন ৫ স্বাক্ষী
আব্দুল আলিম সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালিন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা মামলায় আদালতে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন ৫ জন স্বাক্ষী।
রোববার বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে তৎকালিন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার শহীদুল হক জীবন, শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে সে সময় হামলার শিকার ফাতেমা জামান সাথী, আওয়ামী লীগ নেতা সরদার মুজিব, তৎকালিন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা রাসেল, সাংবাদিক আবু আহমেদ স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।
সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, মামলাটির ১২৩ তম কার্যদিবসে ৫ জন স্বাক্ষী আদালতে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে সপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেড ডিভিশনের চেম্বার জজ আদালতে লিভ টু আপীল শুনানীর দিন ধার্য্য হওয়ায় স্বাক্ষীদের জেরা করছেন না আসামী পক্ষের আইনজীবীরা।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে আসেন। হাসপাতাল থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা করে তৎকালিন ক্ষমতাসীন বিএনপির সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নেতৃত্বে বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদলের ক্যাডাররা।
এঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নামে আদালতে চাজশীট প্রদান করে পুলিশ। মামলায় ৩০ জন স্বাক্ষীর মধ্যে রোববার ৫ জন সহ ১৫ জন স্বাক্ষী তাদের স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।
সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামীপক্ষের আপীল আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী মামলাটি বিচারিক কার্যক্রম অব্যাহত আছে।