সুন্দরগঞ্জে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দে অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন
[the_ad_group id="180"]
শফিকুল ইসলাম অবুঝ সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের গুচ্ছ গ্রামে ঘর বরাদ্দ অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সুবিধা বঞ্ছিতরা। উপজেলার ভাটি কাপাসিয়া-২ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দে অনিয়মের প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারী) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ভূমিহীন ও নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলার রহমান, সমাজসেবক আল শাহাদাৎ জামান জিকো, ভুক্তভোগী জামিউল ইসলাম, সাজু মিয়াসহ সুবিধা বঞ্ছিত ভুক্তভোগী পরিবার।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে বাস্ত হারা মানুষের মাথা গোজার ঠাই হিসাবে সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্প চালু করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কাপাসিয়া ইউনিয়নের ১’শ পরিবারের জন্য ভাটি কাপাসিয়া-২ নামক আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করা হয়। প্রকল্প নির্মিত হলে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নদীভাঙ্গন কবলিত পরিবার, প্রকৃত ভূমিহীন ও বাস্তহারা মানুষের মাঝে বন্টনের নিয়ম থাকলেও উপজেলা প্রশাসন, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিত্তশালী পরিবার ও নিজ আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বরাদ্দ দিয়েছেন। এতে করে প্রকৃত নদীভাঙ্গা অসহায় চরাঞ্চলের ছিন্নমূল মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এমনকি অট্টালিকায় থাকা স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য সাজেদা বেগম তার শ্বাশুড়ির নামেও ঘর বরাদ্দ নেন সেখানে। এতে একশ ঘরের মধ্যে ৮০টি ঘর স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বন্টন করেন।
বক্তারা আরও বলেন, ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে নদীভাঙ্গা অসহায় মানুষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দের পূনঃ তদন্তসহ তাদের মাঝে ঘর বরাদ্দের দাবি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। একবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করে অনিয়ম পেয়েও আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এমনকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত করে প্রকৃত প্রাপকদের মাঝে ঘর বরাদ্দ দেয়ার আশ্বাস দিয়েও তা বাস্তবায়ন করেনি। তাই তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।