গাংনীতে অবৈধভাবে সরকারী জমির গাছ কর্তনের অভিযোগ। গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। জনমনে ক্ষোভ
আমিরুল ইসলাম অল্ডাম গাংনী(মেহেরপুর)সংবাদদাতা : গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামে অবৈধভাবে সরকারী জমির গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তড়িঘড়ি করে গাছ কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় মসজিদের মুসুল্লীসহ গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জুগিন্দা গ্রামের আব্দুর রহমান ওরফে খেদেরের ছেলে আনারুল ইসলামের বাড়ির সামনে দীর্ঘদিনের একটি বিশাল বটপাঁকড়ের গাছ (বটগাছ) হঠাৎ নিজেদের দাবি করে অবৈধভাবে কর্তনের পায়তারা চালিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাড়ি মালিক আনারুল ইসলাম প্রবাসে থাকায় তার ভাই ষোলটাকা ইউনিয়নের সচিব জহুরুল ইসলামের যোগসাজশে গাছটি বিক্রয় করা হয়েছে।
গ্রামের বিতর্কিত গাছ ব্যবসায়ী (একাধিক মামলার আসামী) জনেদ আলীর ছেলে কালাম ও তার ছেলে সরকারী জমির গাছটি ক্রয় করে কর্তন করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরেজমিনে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। পরে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে ধানখোলা ইউপি সচিবকে ঘটনা স্থলে পাঠানো হয়। তিনি গাছ কাটতে নিষেধ করেন।
আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার জুগিন্দা বড় মসজিদ পাড়ার পার্শ্বে ব্রিটিশ আমলের কুয়া (ইঁদারা)পাড়াতে গাছ কাটার ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত সচিব জহুরুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনে জানান, গাছটি সরকারী জায়গার নয়। আমাদের নিজস্ব জমি। বাড়িঘর করার জন্য গাছটি কাটা হচ্ছে। এখানে কোন সমস্যা নেই।
গ্রামের ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা ছোট বেলা থেকে জানি। সরকারী ইদারার পার্শ্বেও জমিটা খাস খতিয়ানের সরকারী জমি। দীর্ঘদিন যাবত খাস জমিতে গ্রামের ছেলেরা খেলাধূলা করে আসছে। সেখানে একটি বড় আকারের বট পাকুড় গাছ রয়েছে। গাছটি তার ভায়ের (প্রবাস)অবর্তমানে অবৈধভাবে জহুরুল ইসলামের যোগসাজশে বিক্রি করা হয়েছে। গাছ কাটতে গিয়ে মসজিদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। উক্ত ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের জরিমানার অর্থ তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।