গাংনীতে আঞ্চলিক সমন্বয়ক খোরশেদ আলমের স্বেচ্ছাচারিতায় হাঙ্গার প্রজেক্টকে গুড বায় জানালো ৩ ইউসি
আমিরুল ইসলাম অল্ডাম মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি : গাংনীতে যশোর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী খোরশেদ আলমের স্বেচ্ছাচারিতায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এর ৩ জন ইউনিয়ন সমন্বয়কারী একযোগে গুডবায় জানিয়েছেন। গাংনী উপজেলায দীর্ঘ ২০ বছর কার্যক্রম পরিচালনা করলেও হিসাবের খাতায় ফলাফল শুন্য। সমন্বয়কারী খোরশেদ আলম নিজেকে প্রজেক্টের কর্তাবাবু মনে করায় তিনি ধরাকে সরাজ্ঞান মনে করেন। ইউনিয়ন সমন্বয়কারী থেকে শুরু করে অধিন্যস্ত কর্মচারীদের সাথে অসদাচরণ ও অসম্মান করে থাকেন।একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান মনে করা হলেও এর সাথে জড়িত কয়েকজন ব্যাক্তি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। মাঠ পর্যায়ের সক্রিয় কর্মীদের পিছনে এক টাকাও খরচ না করে লাখ লাখ টাকা ভ’ূয়া ভাউচার করে আলীশান বাড়ি গাড়ি করেছে কর্মকর্তারা। মাঠ পর্যায়ে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, নারী নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংসতা কমিয়ে আনা, স্বাস্থ্য , শিক্ষাসহ গ্রাম আদালত নিয়ে কাজ করা হলেও ফলাফল যোগের খাতায় গোল্লা। হাঙ্গার প্রজেক্টের কার্যক্রমে শুভঙ্করের ফাঁকি।
ধানখোলা ইউনিয়ন সমন্বয়কারী গোলাম আম্বিয়া জানান, ঐ রকম স্বেচ্ছাচারী সমন্বয়ককের সাথে কাজ করা যায় না। তিনি একজন অসামাজিক মানুষ।তিনি কাউকেই মানুষ মনে করেন না। মানবতা তার কাছে তুচ্ছ। তিনি আরও জানান, হাঙ্গার প্রজেক্টের শুরু থেকেই আমি প্রজ্েেক্টর নানা কর্মসূচি পালনে আন্তরিকভাবে কাজ করে আসছি।হঠাৎ একদিন খোরশেদ আলম আমাকে ডেকে বললেন যে, আপনি ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে সমন্বয় কওে কাজ করতে পারছেন না। আপনাকে অন্য ইউনিয়নে বদলী করা হবে। আমি কোন কথা না বলে জানিয়েছি আপনি যেটা ভাল করেন। পরদিন জানতে পারলাম, আমার কর্মস্থলে নতুন নিয়োগ দেয়া হবে। আমি হতবাক হয়ে গেলাম। কারন জানতে চাইলে গাংনী এরিয়া সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দীন জানান, অফিসে এসে রিজাইন লেটার লিখে দিতে।তিনি আরও জানান, আমি ইউনিয়নে কর্মরত একজন সমন্বয়কারী। আমাকে না জানিয়ে এমনকি কারন দর্শানো নোটিশ না দিয়ে কিভাবে নতুন লোক নিয়োগ দিতে পারে। এসব অনিয়ম অসঙ্গতি মেনে নিয়ে সংস্থায় কাজ করা যায় না। আমি এখনও কর্মরত একজন কর্মী। আমি হঠাৎ করে কিভাবে রিজাইন লেটারে স্বাক্ষর দেব। তাই হাঙ্গাার প্রজেক্টকে গুড বায় জানিয়ে চলে এসেছি। যে প্রতিষ্ঠানে কোন জবাবদিহিতা নেই, সেরকম প্রতিষ্ঠানে কাজ করা সম্ভব না। আমার সহকর্মী র্আও ২ জন মটমুড়া ইউপির সমন্বয়কারী হাবিব ও সাহারবাটি ইউপির সমন্বয়কারী আজিবার রহমান স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। আরও জানাগেছে, রাইপুর ইউপি সমন্বয়কারীকের অব্যাহতি দিতে উঠে পদে লেগেছেবলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে।