গাংনীতে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্রবাসীর বাড়ির ভিতরের গাছ কর্তন। গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা !
মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনীতে পারিবারিক বিরোধের জের ধওে প্রবাসীর বাড়ির ভিতরের নানা ফলজ গাছ কর্তন করেছে ভাই-ভাতিজিরা।গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা ! এরকম ঘটনা ঘটেছে গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট পুকুর পাড়া গ্রামে। এ নিয়ে দু’পরিবারের মধ্যে চলছে মন কষাকষি। ঘটনার জের ধরে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের মিনারুল ইসলাম বর্তমানে প্রবাস (সৌদি আরব) জীবন যাপন করছেন। বিদেশ থাকার কারনে বিভিন্ন সময় হিংসাবশতঃ মিনারুলের বড় ভাই কাবের আলী ও তার ছেলে সাইদুর রহমান, রায়হান আলী ও আশিকুজ্জামান নানা অযুহাতে মিনারুলের স্ত্রী রুমিয়া খাতুনের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া ঝাটি করে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিয়ে থাকে।
ডমনারুল ইসলাম মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, আমি এই অত্যাচারের বিচার চাই।
প্রতিবেশীরা জানায়, কিছুদিন আগে বাঁশ ঝাড়ে বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে কথাকাটি হয়। এরই বদলা নিতে রুমিয়া বাড়ির সাথে লাগানো কুমড়া গাছ কেটে দেয়। এরই জের ধরে ঘটনা তীব্র হতে থাকে। গত রবিবার বিকেলে উভয় পরিবারের মধ্যে তুমুল ঝড়গাঝাটি হয়।এসময় রুমিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সে প্রাণ ভয়ে হাড়াভাঙ্গা বাবার বাড়ি চলে যায়। ঐ দিনই দিবাগত রাতে আক্রোশবশতঃ কাবেরের ছেলে রাইহান ও আশিক প্রাচীর বেষ্টিত বাড়িতে প্রবেশ কওে ফলজ গাছ আম, পেয়ারা, কুল , আমড়া, বেশ, ইত্যাদি একাধিক গাছ কর্তন করে। সকালে খবর পেয়ে রুমিয়া বাড়িতে এসে দেখেতে পায় বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে গাছগুলি কেটে দিয়েছ্।ে
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গেলে কাবেরের ছেলেরা গাছ কর্তন করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে মিনারুলের চাচা সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনা নিয়ে গত সোমবার রাতে পারিবারিকভাবে বসে মিমাংসা করা হয়েছে। গাছের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। এবং গাছ লাগিয়ে দেয়া হবে। এটা নিয়ে আর কোন বিরোধ নেই। মিমাংসার সময় স্থানীয় মেম্বর আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এব্যপারে গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, আমি লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।