ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে স্বপন দাস (১৭) এক কিশোর নিজ শয়ন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অন্যদিকে ঈদের কাপড় চোপড় কিনে চেয়েছিল ১ম শ্রেণির রিপু আক্তার (১৫)। না পেয়ে সেও অভিমানে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাধুবান্ধা নিরাশিপুকুর এলাকা ও জিয়াখোর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুজনের মরদেহ উদ্ধার এবং ময়না তদন্তের কাজ করছে পুলিশ।
স্বপন দাস উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের নিরাশিপুকুর গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মদন দাসের ছেলে।
স্বপনের বাবা মদন দাস জানান, দুপুরে বাড়ীতে গোসল করতে আসে স্বপন। বিকাল ৫টা পর্যন্ত দরজা বন্ধ দেখে আমাকে খবর। বাড়ী ফিরে এসে দরজা ভেঙ্গ দেখি গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে স্বপন।
স্বপনের বন্ধুরা জানান, প্রতিবেশী মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল স্বপন। মেয়েটির বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল স্বপন।
অন্যদিকে রিপু আক্তার একই ইউনিয়নের জিয়াখোর গ্রামের ইজিবাইক চালক নুর ইসলামের মেয়ে। দুওসুও উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
স্কুলছাত্রী মা ফরিদা বেগম জানান, গতকাল বুধবার সকালে ঈদের জন্য কাপড় চোপড় কিনে চেয়েছিলেন রিপু। টাকা পয়সা জোগাড় হলে কিনে দিতে চেয়েছিলাম। অভিমান করে বৃহস্পতিবার স্কুলে যায়নি রিপু। সন্ধ্যার আগে একসাথে মাঠ গরু আনার পর শয়ন ঘরে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।
‘টের পেয়ে ফাঁস খুলে ভ্যানে করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল স্বজনরা। রাস্তায় মারা গেলে তাকে ফিরিয়ে আনে পরিবারের লোকজন’।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি শওকত আলী সরকার জানান, পৃথক দুটো ঘটনাস্থলে মরদেহের প্রাথমিক সুরতহালের প্রতিবেদন করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।