আমিরুল ইসলাম অল্ডাম মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউপির অধীন রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামে পৈত্রিক সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় বাবা-মা ও বড়ভাইকে লাঞ্ছিত ও মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে ধলা গ্রামের এখলাস আলীর দোকানের সামনে রাস্তার উপর।
বাবার বড় ছেলে শফিউল ইসলাম মোটর সাইকেলযোগে চিকিৎসার জন্য তার বাবা কাবেল শেখকে (৭৫) নিয়ে মেহেরপুর শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কাবেল শেখের ছোট ছেলে বেল্টু(৪০) ও শ্বশুর হাবেল শেখ , স্ত্রী দিলিফা খাতুন ও -শ্যালক সাদ্দাম হোসেন মিলে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালায়। মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে জোরপূর্বক নামিয়ে বেল্টু ও তার শ্বশুর-শ্যালক এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও মারপিট করে শারীরিকভাবে জখম করে।
বৃদ্ধ কাবেল শেখ (৭৫)ও শফিউল ইসলাম (৪৫) নীলাফুলা ও কালশিরা পড়ে গুরুতর জখম হলে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।এঘটনায় ৩ জন স্বাক্ষী রয়েছে বলেও জানা গেছে।
চিকিৎসা নিয়ে ফিরে এসে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, জমি লিখে না দিলে ছোট ছেলে বেল্টু তার বাবা কাবেল শেখ ও বড় ভাই শফিউল ইসলামকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির ভয়ে বাবা কাবেল শেখ ও বড় ভাই শফিউল ইসলাম বর্তমানে বাড়ি ছাড়া। বিচারের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
এনিয়ে অভিযোগকারী বাবা কাবেল শেখ জানান, আমি অনেকদিন আগে ২ ছেলেকে আমার সম্পত্তি থেকে বড় ছেলে শফিউল ইসলামকে দেড় বিঘা ও ছোট ছেলে বেল্টুকে ২ বিঘা জমি মৌখিকভাবে আবাদ করার জন্য বন্টন করে দিয়েছি। এছাড়াও আমার বড় ছেলে বিদেশে যাওয়ার পর ছোট ছেলেকে আরও ৩ বিঘা জমি আবাদ করতে দিয়েছি। তারপরেও আমাকে ও আমার বৃদ্ধা অসুস্থ স্ত্রী ছফুরা খাতুনকে ভরণপোষণ দেয়না , দেখভাল বা চিকিৎসার খরচ দেয় না। আমরা বড় ছেলের কাছেই খাওয়া দাওয়া ও চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকি। আমাদের কখনও বিপদে আপদে ছোট ছেলে একটি টাকাও দেয় না। সেকারনে আমি বড় ছেলের নামে কয়েকশতক জমি রেজিষ্ট্রী করে দিয়েছি।
বাবা কাবেল শেখ কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, আমি প্রাণভয়ে বাড়ি যেতে পারছিনা , পালিয়ে বেড়াচ্ছি। প্রশাসনের নিকট আমার নিরাপত্তা কামনা করছি ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি।