ঢাকাSaturday , 19 July 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. খেলাধুল
  4. জাতীয়
  5. বিনোদন
  6. বিশ্ব
  7. রাজনীতি
  8. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফ্যাসিবাদী পরাজিতরা যেনো আর মাথা চাড়া দিতে না পারে,সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। – মনির হায়দার

Mahamudul Hasan Babu
July 19, 2025 12:16 pm
Link Copied!

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম  মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি : একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকলের শান্তিপূর্ণ ও সহাবস্থান দরকার। ৭১ এব! ২৪ এর আন্দোলন ছিল মুক্তির আন্দোলন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়নি। মুক্তির চেতনায় দেশ স্বাধীন হয়েছিল। স্বাধীনতার ১ম সরকার গঠন হয়েছিল বৌদ্যনাথতলা ভবের পাড়ার আম্রকাননে। স্বাধ:ীনতার পরে একদিনর শেখ মুজিবুর রহমান বৈৗদ্যনাথতলায় আসেননি। তাহলে মুজিবনগর কেন নামকরণ করতে হবে। ঐ জায়গাটার নাম মুক্তি নগর অথবা স্বাধীনতা নগর হতে পারতো। তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেও উদ্দেশ্যে বলেন, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের দোসর হয়ে এখনও অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী নমনীয় হয়ে নিরপেক্ষতা দেখাচ্ছেন। এই সিদ্ধান্ত তাদের আত্মাঘাতী সিদ্ধান্ত। এখান থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, নতুণ বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
৫ ই আগস্ট ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে দেশ যে নতুন করে মুক্ত হলো। ওই সময়ের ফ্যাসিবাদী পরাজিতরা যেনো আর মাথা চাড়া না দেয়,সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। কারণ দেশকে নৈরাজ্যে সৃষ্টি করতে এখনও অর্থের যোগান দিয়ে যাচ্ছে তারা। দেশকে ফ্যাসিবাদী কায়েম করতে আর্থিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে তারা অত্যন্ত শক্তিশালী।
তিনি আরো বলেন,১৯৭১ সালে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলাকে মুজিবনগর নামক সরকার গঠন করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে শেখ মুজিবুর রহমান তাে এদেশেই ছিলেন না। তার নামে অর্থাৎ মুজিবনগর নামকরণ কােন যৌক্তিক না। যেহেতু,মুক্তির চেতনায় মুক্তিকামী জনতা যুদ্ধ করেছিল। সে কারণে বৈদ্যনাথতলাকে মুক্তিনগর বা মুক্তিপুর নামক করায় যৌক্তিক বলে মনে করি আমি।

ফ্যাসিষ্ট সরকারের কোন দোসরদের কোনক্রমে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেয়া হবে না।
গাংনী উপজেলার সকল সরকারী কর্মকর্তা ও স্থাণীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে উপজেলার সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার (সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা) প্রধান অতিথির বক্তব্য উপস্থাপন কালে এসব কথা বলেন।
। আজ শনিবার সকাল ১১ টার সময় গাংনী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুরুতেই মতবিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ এর সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথি বৃন্দের মধ্যে উপজেলার নানা সমস্যা তুলে ধরে বক্তব্য উপস্থাপন করেন,মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক জননেতা আমজাদ হোসেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য রেজাউল হক মাষ্টার, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও একাধিকবারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য জননেতা আসাদুজ্জামান বাবলু, মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম সোনা, গাংনীর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, গাংনী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান, গাংনী টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ স্বপন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মোজাহিদুল ইসলাম, প্রমুখ।
গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোত্তালেব আলীর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গাংনী বাজার মসজিদের সম্মানিত ঈমাম হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন, গাংনী সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ , বামন্দী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ আলম, কাথুলী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান হোসাইন মহাম্মদ,সাংবাদিক তৌহিদ উদ দৌলা রেজা প্রমুখ।
সভার শুরুতেই জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও আহত যোদ্ধাদের সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি গাঁথা তুলে ধরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধাদের সম্মান জানানো হয়।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।