এম, এ কুদ্দুস, বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি \ দিনাজপুরের বিরলে আবহাওয়া অনেকটা সহনশীল ও স্বাভাবিক থাকার পর আবারো জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। এতে করে নি¤œ আয়ের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে দারুণ বিপর্যয়। সেই সাথে বয়স্ক ও শিশুদের বেড়েছে শীত বাহিত রোগের পাদুর্ভাব।
রোববার দিবাগত রাত থেকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়াসহ ও হাঁড় কাঁপানো শীতের তীব্রতা ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পায়। তীব্র শীতের কারণে অনেকে ভারি কাপড় পরে নিজ নিজ কর্মে ছুটলেও শীতের কাপড় কেনার সাধ্যের বাইরে থাকা অনেক দুঃস্থ মানুষ শীতে জুবুথুবু হয়ে পড়েছে। অনেকে কম্বল ও গরম কাপাড়ের আশায় এলাকার সমাজসেবক ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ্য হচ্ছে।
হিমালয়ের পাদদেশ খ্যাত এবং সীঁমান্ত ঘেঁষা এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অনেক সাধারণ মানুষ সাময়িক ভাবে শীতের তীব্রতা নিবারণের জন্য ঠান্ডায় হিম হওয়া শরীর খুড়কুটো জ¦ালিয়ে আগুনে তাপ নিয়ে তাৎক্ষণিক শীত নিবারণের চেষ্টো করছে।
শীতের তীব্রতা থেকে রেহাই পেতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের চায়ের দোকান গুলোতে অনেক মানুষ এক বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসে গরম চায়ের কাপে আয়েস করে চুমুক দিয়ে ঊষ্ণতা নিচ্ছে। সে কারণে গরম কাপড়, গরম খাবার ও চায়ের দোকান গুলোতে মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
আগুন তাপাতে আসা উপজেলার ভান্ডারা ইউপি’র বালান্দোর গ্রামের মমতাজ আলী ও সুমন জানান, প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে শরীর মনে হয় জমে যাচ্ছে। সকাল থেকে কোন কাজে যেতে পারিনি। তাই খড়কুটো জ¦ালিয়ে আগুনের তাপ নিয়ে শরীর গরম করছি।
সোমবার এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার কথাও কোন প্রকার রোদ বা সূর্য্যরে দেখা মেলেনি।