আঃ রশিদ তালুকদার, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করলেও তাঁর হাতে গঠিত সরকারি আমলারা হাসিনা তথা আওয়ামী লীগকে পুন:প্রতিষ্ঠিত করতে তাঁরা এখনো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ২৪ শের ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এখনো আ’লীগ দোষরা এখনো সজাগ। গণঅভ্যুত্থানে প্রশাসনের অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ মোটও খুশি হতে পারেন নি। বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিকে বিকল্প ভাবে নজরদারি করে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ দোষরদেরকে নির্মমূল না করলে, গণঅভুসত্থান ব্যার্থ করতে স্বৈরাচারের তৎপর হবে। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের মদদপুষ্ট এখনো বহাল প্রেসক্লাবের দালাল সভাপতি সেক্রেটারি সহ সাংবাদিরাই এখনো যাঁরা মিডিয়ায় রয়েছেন তাঁদেরকে স্থানীয়রা সকলেই চিনেন, এরা কিন্তু ভবিষ্যত বাংলাদেশের জন্য হুমকি স্বরুপ মনে রাখতে হবে বর্তমান সরকারকে। বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরীতে নিয়োগের সময়কালও যোগদান, অবস্থান, ক্ষেত্রে বিবেচনা করে তাঁদের অতীত আমলনামা বিচার বিশ্লেষনের করে সন্দেহ মূলকদেরকে বাধ্যতামূলক অবসরের ব্যাবস্থাসহ দোষীদেরকে বিচারের আওতায় আনার দাবি উপদেষ্টাদের নিকটে আহতও নিহতদের পরিবারের ও দেশবাসীর। আমলাদের অতীত আমলনামা বিশ্লেষণ করে দোষি আমলাদেরকে চিহ্নিত করা অর্ন্তবতী কালিন সরকারের উপদেষ্টাদের সংস্কারের প্রধান মাধ্যম তাছাড়া বাংলাদেশকে সংস্কার কোনক্রমেই সম্ভব নয়। সর্ষের মধ্যেই ভুত রেখে, ভুত তাড়ানো সম্ভব নয়! বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নিহতের পরিবার আহতরা সরকারি সেবা পেতে বৈষ্যমের শিকার হচ্ছেন। সরকারি কিছু কর্মকর্তারা এদেরকে মোটেও সহ্য করতে চাচ্ছে না। তাই অতিদ্রুত উপদেষ্টা বিষয়টি বিবেচনায় এনে, দ্রুত পদক্ষেপের নেয়ার প্রয়োজন। না হয়, একটা সময় আসবে যখন সরকার তথা ছাত্র-জনতার নেতাদের ও সরকারকে, সরকারি আমলারাই গুরুত্বপূর্ণ কোন নির্দেশই পালন না করেই নিজেদের খেয়াল-খুশী মত চলবে এবং অধস্থনদের পরিচালনার চেষ্টা করবে! তাছাড়া হিন্দুত্ববাদ ভারত প্রীতির বন্ধ করতে হবেই। ভারতের কোন কিছুই অনুকরণ আমাদের বাংলাদেশর জন্য মঙ্গল জনক নয়। অনেকই দিল্লি বা অন্যান্য প্রদেশের অনুকরণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নিকট স্মারক জমা দিচ্ছেন। এটা দেশের সাথে শহীদ-আহতদের সাথে ঠাট্টা মশকরা করা হচ্ছে! যেখানে হিন্দুত্ববাদ ভারতের আগ্রাসন থেকে বের হতে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশবাসী বিতারিত করেছেন। সেখানে অন্তরবর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নিকট ভারতের পক্ষে স্মারক জমা দেয়া গুরুতর অন্যায়! ভারতে ভাল কিংবা মন্দ কোনটাই আমরা অনুকরন করব না! আমাদের বাংলাদেশের সন্তানরা, নাগরিকরা হিন্দুত্ববাদ ভারতের চেয়ে অনেক মেধাবী বলে আমরা মনে করি। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন এখনো পুরো-পুরি বদলায় নি, তাঁরা ছাত্র-জনতার উপর কিছুটা প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাঁরা ছাত্র-জনতাকে প্রাধান্য দিচ্ছেনা। বরং প্রয়োজনে যদি ছাত্রজনতা ডাকে, তাঁতে সময়মত সাড়া দিচ্ছে না। এছাড়া রাষ্ট্রের চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই- হয়রানি বন্ধ করতে পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত অন্য বাহিনী গুলোর সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা রাষ্ট্র ও জনগণকে সহযোগিতা করছে না।
২৪শের গণ অভ্যুাত্থানের আন্দোলনের সময় ছাত্র -জনতা হাতে অনেক স্বৈরাচারের তৈরি পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে হামলার শিকার হওয়ায় জনসাধারণের প্রতি তাদের ক্ষোভের কারণ বলে বিশ্লেষকদের ধারনা! তবে আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনকে ভুলে গেলে চলবেনা যে, রাষ্ট্র তাদের বেতন-ভাতা দেয়, তা রাষ্ট্রের জনগণের সেবার জন্যই, তাই তাঁরা স্বৈরাচারের দোষর না হয়ে, জনগনের সেবক বা প্রজাতন্ত্রের সেবক হয়ে যাওয়াই মঙ্গল জনক। গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের নিকট রাষ্ট্র স্বৈরাচারদের নাড়ি-নক্ষত্রের সকল খবর থাকা স্বত্বেও তাঁদের তেমন কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছেনা, এটা অত্যান্ত সন্দেহ জনক। বাংলাদেশে নিয়োজিত গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর সম্মিলিত কার্যক্রমে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের নাম নিশানা মুছে দেয়া সম্ভব। আজ হোক, অথবা কাল, আওয়ামী লীগ নামক কোন দল বাংলাদেশ মাটিতে রাখা যাবে না। এই দলটি বাংলাদেশ তথা রাষ্ট্রটির জনগণ এবং ইসলাম ধর্মের জন্য অত্যান্ত, চরম হুমকি বলা যায়। যেখানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খোলা বাহিনীসহ সকল সন্দেহ ভাজনদের বাধ্যতা মূলক অবসরে দিয়ে নতুন নিয়োগ প্রদানই বাংলাদেশের জন্য কল্যাণ কর। কারন সচিব থেকে অধস্তন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী অনেকেই স্বৈরাচার হাসিনা তাবেদার ও আওয়ামী লীগের রক্ষাকর্তা ছিলো, এবং এখনো আছেই। তাই উপদেষ্টা গণ নিজেদের মেধা বুদ্ধি দিয়ে চলুন ও চালান। না হয়, সুযোগ পেলে সচিবরাই প্রতিটি মন্ত্রনালয়ে নথিপত্রে আগুন দেয়ার ছক আকবে! সচিবরাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে চালাবে সরকার। সরকারের উপদেষ্টাদের নির্দেশ অধস্তনদের দিকে পৌঁছাবে না, এবং জনসাধারণের সঠিক সিদ্ধান্ত বা বিষয়ের কথা সরকারের কান পর্যন্ত পৌছাবে না। বলতে বাঁধা নেই যে, বর্তমানে অর্ন্তবর্তী কালিন সরকারকে বেকায়দা বা বর্হি:বিশ্বর কাছে ড. মোঃ ইউনুস সরকার ও উপদেষ্টা, তথা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন বা গণ অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে হাসিনার পালিত অবৈধ নিমক খাওয়া লোক গুলো বিভিন্ন আন্দোলন, মানব বন্ধন, দাবী আদায়ের জন্য ঢাকাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাছে। এরা ইচ্ছে করলে, তাদের দাবী গুলো লিখিত আকারে তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে অথবা, নির্ধারিত দপ্তরে পাঠিয়ে চাওয়া -পাওয়া গুলো ভদ্র ভাবে শালীনতার মাধ্যমে সম্ভব ছিল, কিন্তু তাঁরা কিন্তু তা করেনি। গুটি কয়েক প্রতিষ্ঠান, দপ্তর, তাদের দোষ ত্রুটি গুলো ঢাকতেও তারা লোক দেখানো আন্দোলন করছেন, যার ফলে বর্হি:বিশ্ব দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। নির্বাচিত সরকার আসার আগে পর্যন্ত অপারেশন ডেভিল হান্ট চালু থাকুক এবং বিভিন্ন রাস্তা ডাকাতি -ছিনতাই, চুরি-বদমায়েসি ইত্যাদি অপকর্মের ক্ষেত্রে সোচ্চার থাকতে হবে আইন-শৃঙ্খোলা বাহিনীকে। আ’লীগের অপকর্মের নেত্রীস্থানীয়রা এখন পলাতক, এদের এসব আ’লীগ কর্মীরা মানুষকে ভয় দেখিয়ে যে চাঁদাবাজি করতো, তা বন্ধ হয়ে গেছে সেলটার হরিয়েছে তাঁরা। যাঁর ফলে রাস্তায় রাতের অন্ধকারে নিরিহ মানুষকে হত্যা, জখম, আহত করে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি পেশা বেছে নিয়েছে। আবার কেউ কেউ নিজেদের মুখোশ-খোলস পাল্টিয়ে অন্য কোন রাজনৈতিক অভিভাবকের খোঁজে তোষামোদ চালিয়ে যাচ্ছে। আ’লীগ ভারতের মদদে তৈরি একটি সন্ত্রাসী একটি দল, বাংলাদেশ তথা জনসাধারণের জন্য হুমকি স্বরুপ দল। তাই অভিভাবকহীন দল, দলের নেতা, কর্মীদের আপনাদের নিকট জায়গা দেন তবে, বিষাক্ত ছোবলে খাওয়ার জন্যও প্রস্তুত থাকুন! ভারত আমাদের জন্য মোটরও কল্যাণকর নয়, আমাদের দেশের শত্রু, হিন্দুত্ববাদ ভারত হয় তাদের বন্ধু ও আশ্রয় দাতা