মো. তোফাজ্জল হোসেন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে একটি গোডাউন থেকে ৫৩৩ বস্তা (প্রতি বস্তা ৩০ কেজি) সরকারি চাল উদ্ধার করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিপংকর বর্মন। পরে চালগুলো সরকারি খাদ্যগুদামে রাখা হয়। ঘটনার ৭দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযানে গোডাউনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে চাবি সংরক্ষণ করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোছাঃ খালেদা বেগম ও ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান। দীর্ঘদিন হতে মোমো ট্রেডার্সের মালিক জামিলুর রহমানের চলমান অবৈধ কালো বাজারি চাল ব্যবসা স্থানীয় সচেতন লোকজন বুঝতে পেরে ৭ আগষ্ট’২০২৫ সরকারী খাদ্য গুদামের সীলযুক্ত বস্তা প্যাকেট করে বাজারজাত করার প্রস্তুতিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা এবং এনএসআই-এর ২ জন সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি দিপংকর বর্মন ও থানা পুলিশকে অবগত করলে সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনা স্থলে উপস্থিত হোন। অভিযানিক দলের সামনে অভিযুক্ত জামিলুর রহমান জানান, চালগুলো টাঙ্গাইল থেকে কিনে এনেছে। তার ডকুমেন্ট রয়েছে বলে দাবী করেন। দোষ স্বীকার না করায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন এসিল্যান্ড। গোডাউনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। গোপন সংবাদদাতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোন প্রকার ছাড় দিলে বা অপরাধীকে আড়াল করলে তীব্র প্রতিবাদের মাধ্যমে চাল কালো বাজারিদের সিন্ডকেট ভেঙ্গে তছনছ করা হবে। আইনের ফাঁক ফোঁকড় দিয়ে অপরাধীকে আড়াল করতে ১ সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পর ১৩ আগষ্ট’২৫ বীরগঞ্জ থানায় জব্দ তালিকা জমা দেয়া হলে ৬০০ নম্বর সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে মর্মে জানান এসআই সুমন দেবনাথ।
তিনি আরও জানান এই জিডির আলোকে মাননীয় আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হবে, নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু নিয়মিত মামলা না হওয়া এবং কালক্ষেপণের কারণ কি এমন প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়ে বিষয়টি খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তার কাছে শুনতে বলেন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে জানতে চাইলে তিনি আইনগত ব্যবস্থার জন্য জব্দ তালিকা স্বাক্ষর করে থানায় পাঠিয়েছেন বলে জানান। কালক্ষেপণ এবং মামলা না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কোন অনিয়মের সুযোগ নাই। এ ব্যাপারে এসিল্যান্ড দিপংকর বর্মন সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঐ দিনেই তো মামলা করার কথা বলা হয়েছে। বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল গফুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন অপরাধী কে কোন ছাড় দেয়া হবে না।